মুক্তবুলি প্রতিবেদক।।
০১ অক্টোবর উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম রহ:-এর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার শতাধিক মৌলিক ও অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পরিবার ও পারিবারিক জীবন, ইসলামে অর্থনীতি, ইসলামে জিহাদ, সুন্নাত ও বিদআত, আল কুরআনের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ, আল কুরআনে শিরক ও তাওহীদ প্রভৃতি।
১৯১৮ সালের ২ মার্চ পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯৩৮ সালে শর্ষিণা আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম, ১৯৪০ সালে কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল এবং ১৯৪২ সালে একই মাদরাসা থেকে প্রথম শ্রেণিতে কামিল পাস করেন।
১৯৪৯-৫০ সালে বরিশাল থেকে সাপ্তাহিক ‘তানজীম’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ঢাকা থেকে ১৯৫৬ সালে সাপ্তাহিক জাহানে নও প্রকাশ ও পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন। ১৯৬০-৭১ সালে ইসলামী গবেষণা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন। ১৯৭৬-৮১ সালে বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং একই সময়ে ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন। ১৯৭৭-৮৩ সালে আইডিএল বা ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ এবং সংসদে আইডিএল পার্লামেন্টারি গ্রুপের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন।
১৯৮০ সালে কলম্বোতে আন্তঃপার্লামেন্টারি সম্মেলনে যোগদান। ১৯৮২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ১৯৮৩ সালে হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগদান। ১৯৮৩ সালে আইডিএলের নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন প্রতিষ্ঠা এবং আমৃত্যু চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন। ১৯৮৩ সালে অনুবাদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার। ইসলামী সাহিত্যের বহু মৌলিক গ্রন্থের রচয়িতা মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম রহ:-এর জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচজনকে পিএইচডি প্রদান করেছে।