জোসেফ স্টালিনের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নে কমপক্ষে নিহত হয় ২ কোটি মানুষ
জোসেফ স্টালিনের হাতে, সোভিয়েত পুলিশি রাষ্ট্রের হাতে, কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর একটা বড় অংশ নিহত হয়েছেন ক্ষুধায়, ইউক্রেনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আরোপিত দুর্ভিক্ষে। অন্যরা নিশ্চিহ্ন হয়েছেন ফায়ারিং স্কোয়াডে, সাইবেরিয়ার গুলাগে। স্টলিনের হাতে নিহত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের গুলাম আম্বিয়া লোহানী, মস্কো এসেছিলেন রুশ ‘বিপ্লবে’র পরপর। স্টালিনের নির্দেশে বিদেশি চর হিসেবে তাঁকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়।

স্টালিনের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নে কমপক্ষে ২ কোটি ইনসান নিহত
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মস্কোর মহাফেজখানা খুলে দিলে যেসব নথিপত্র বেরিয়ে এসেছে, তাতে দেখা যায়, অন্ততপক্ষে ৩৬২টি ‘হত্যা নির্দেশ’সূচক তালিকা রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটির নিচে স্তালিনের স্বাক্ষর রয়েছে। এ কথা ঠিক, স্তালিন নিজ হাতে এসব খুন করেননি, কিন্তু নির্দেশটি এসেছে তাঁর কাছ থেকে। তাঁকে সে কাজে মদদ দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। আমরা স্তালিনের ডান হাত গোপন পুলিশপ্রধান লাভরেন্তি বেরিয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু একা বেরিয়া নন, কমিউনিস্ট পার্টির ছোটো-বড় সব ধরনের নেতাই সাগ্রহে স্টালিনের ফাঁসুড়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন এজভ, কাগানভিচ, মিকোয়ান এবং স্বয়ং খ্রুশ্চেভ।
১৯৫৬ সালে পার্টির ২০তম কংগ্রেসে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নিকিতা খ্রুশ্চেভ দলীয় সদস্যদের সামনে ভেঙে বলেছিলেন, স্টলিনের হাতে তাঁর দেশের মানুষ কী ভয়াবহ নিগ্রহের শিকার হয়েছে। দলের সবাই নীরবে সে নিগ্রহ স্বীকার করেছিল, ফলে তারাও কার্যত মানবতার বিরুদ্ধে সে অপরাধের অংশীদার। খ্রুশ্চেভ প্রশ্ন রেখেছিলেন: যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, যাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, এখন তাঁদের ব্যাপারে আমরা কী করব? যাঁরা সে অপরাধের শিকার, আমরা এখন জানি, তাঁরা সবাই নিরপরাধ ছিলেন। আমাদের কাছে বিতর্কোর্ধ্ব প্রমাণ রয়েছে, তাঁরা কেউই জনগণের শত্রু ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন সৎ, দলের প্রতি অনুগত নারী ও পুরুষ। আমরা তো ভালো করেই জানি কী ভয়াবহ নির্যাতনের রাজত্ব ছিল সেটি, দলের নেতৃত্ব কেমন স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার করেছেন। ভয়াবহ সে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর কিছুই হয়নি, কীভাবে এমন ভান করে থাকতে পারি আমরা? না, কী হয়েছিল সে কথা আমাদেরই বলতে হবে।’
[হাসান ফেরদৌস: স্তালিনবাদকে যাঁরা জিন্দাবাদ দিচ্ছেন, প্রথম আলো, কারওয়ান বাজার, ২১ জুলাই ২০১৯, পৃষ্ঠা ১১]
মুসলিম মেয়েদের প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করুক হিন্দু পুরুষরা: বিজেপি নেত্রী

সুনীতা সিং গৌড়
হিন্দু পুরুষদের উচিত মুসলিম মহিলাদের গণধর্ষণ করা। উত্তরপ্রদেশের রামকোলার বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী সুনীতা সিং গৌড় ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মুসলিমদের জন্য একটাই সমাধান রয়েছে। হিন্দু ভাইয়েদের ১০ জন করে দল তৈরি করে মুসলিম মা ও বোনেদের প্রকাশ্য রাস্তায় গণধর্ষণ করা উচিত। এরপর সবাইকে দেখানোর জন্য তাদের বাজারের মাঝখানে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত।‘ এখানেই না-থেমে তিনি আরও বলেন, মুসলিম মা ও বোনেদের উচিত নিজেদের সম্ভ্রম লুঠ করতে দেওয়া। কারণ দেশকে রক্ষা করতে এ ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই। [সূত্র: ট্রিবিউন ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০১ জুলাই ২০১৯]
বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সূচনা ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে অবৈধভাবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের জন্য মুসলমানদের দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা দুর্ভাগ্যজনক।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের গণমাধ্যম, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোতে ফিলিস্তিন ইস্যুকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- বিশ্ব গণমাধ্যমের মধ্যে এমন একটি সমঝোতা হয়েছে যে, তারা কখনই ফিলিস্তিন ইস্যুকে বড় করে তুলে ধরবে না। মিডিয়া এ সত্যটি তুলে ধরতে চায় না যে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা অন্যায় করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। [দৈনিক যুগান্তর, ২৮ জুলাই ২০১৯, বারিধারা, ঢাকা ]
চলবে …
Muktobuli | মুক্তবুলি Muktobuli is the most popular online blog to publish the rare news.
