ফ্রেঞ্চ কবি চার্জ বোদলেয়ার ১৮৪১ সালের জানুয়ারি মাসে লিখেছেন এই কবিতা
ভাষান্তরিত করেছেন ফাতিমা আজিজা
.
একদল নাবিকেরা প্রায়শই, আনন্দপ্রদ হয়ে,
সমুদ্রের বৃহৎ পাখি অ্যালবেট্রোস শিকার করে,
অভিযানের দুর্বল সঙ্গীরা, অনুসরণ করে
.
সেই জাহাজের যে কিনা তিক্ত গর্তে পদস্খলিত
তারা নিজেদেরকে জাহাজের তলায় স্থাপন করে কদাচিৎভাবে
গগনের রাজাদের তুলনায়, বেমানান এবং লজ্জিতভাবে,
.
যেনো তাদের সম্মুখে বৈঠা তাদের বিশাল শুভ্র পাখনা গুলোকে
টেনে টেনে নিয়ে যায় শোচনীয়ভাবে
.
পাখনা যুক্ত পথিকেরা, হয়ে যায় বলহীন উদ্যমহীন!
যে কিনা অতীতে সবচেয়ে অপরূপ ছিল, আজ সে কতটা হাস্যকর কুৎসিত!
.
কেউ কেউ কলঙ্কের চিহ্ন এঁটে দেয় তার ঠোঁটে,
আবার কেউ ভাঁড়, খোঁড়া, বিকলাঙ্গ ধাবকের!
.
কবি যেনো মেঘেদের রাজার মতো,
প্রচন্ড ঝড়ের বেগে হানা দেয় এবং তিরন্দাজের কাছে
হাস্যকরে পরিণত হয়;
.
চেঁচানো জনতার ভীড়ের মাঝে সে হয়ে যায় ভুবন নির্বাসিত,
তার বৃহত পাখনা গুলো গতি রোধ করে তার চলার পথে।
.
ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা মূল কবিতা
L’Albatros
Charles Baudelaire
.
Souvent, pour s’amuser, les hommes d’équipage
Prennent des albatros, vastes oiseaux des mers,
Qui suivent, indolents compagnons de voyage,
Le navire glissant sur les gouffres amers.
.
À peine les ont-ils déposés sur les planches,
Que ces rois de l’azur, maladroits et honteux,
Laissent piteusement leurs grandes ailes blanches
Comme des avirons traîner à côté d’eux.
.
Ce voyageur ailé, comme il est gauche et veule!
Lui, naguère si beau, qu’il est comique et laid!
L’un agace son bec avec un brûle-gueule,
L’autre mime, en boitant, l’infirme qui volait!
.
Le Poète est semblable au prince des nuées
Qui hante la tempête et se rit de l’archer;
Exilé sur le sol au milieu des huées,
Ses ailes de géant l’empêchent de marcher.