বাংলাদেশে যাকাতের আইডল প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট’

আযাদ আলাউদ্দীন শফিকুল ইসলাম ।।

তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ কর যাতে তুমি সেগুলোকে এর মাধ্যমে পবিত্র ও বরকতময় করবে পারো। আল কুরআন (৯: ১০৩) যাকাত ইসলামের মৌলিক ইবাদত। দারিদ্র বিমোচন করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করে তোলাই যাকাতের মূল লক্ষ্য। ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় রাষ্ট্র ও সরকারই মূলত যাকাত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে আসছে। সরকার এই কাজটি সম্পাদনের জন্য আইন প্রনয়ন ও রাষ্ট্রীয় সংস্থা গঠন করে তা পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ করতে পারে। একান্ত ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় যাকাত দিয়ে সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে বিশেষ কিছু করা যায় না বিধায় অনেক দেশেই এখন বিভিন্ন বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাকাত তহবিল গঠন করে তাতে অংশগ্রহণের জন্য যাকাতদাতাদের আহ্বান জানাচ্ছে।

তারা ঐক্যবদ্ধভাবে যাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য বিত্তবান ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও যাকাত আদায় ও বিতরণ আশানুরুপ হচ্ছে না।
তাই যাকাতের অর্থের কার্যকরী ব্যবহার, সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাংলাদেশে কাজ করছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্যে সিজেডএম আয়বর্ধক ও সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি প্রদান, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টি সহায়তা, অসহায় নারীদের স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নানা ধরনের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত কর্মসূচি থেকে হাজার হাজার সুবিধা-বঞ্চিত মানুষ সুফল ভোগ করছে। এ ছাড়াও সিজেডএম সমাজে যাকাতসম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মশালা, সেমিনার, রাউন্ড টেবিল, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নানা ধরনের প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। দেশের প্রখ্যাত ৮ জন আলেমের সমন্বয়ে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের রয়েছে একটি শরিয়াহ বোর্ড।

সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্টের অধীনে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্ম কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। সামষ্টিক উদ্যোগে শরীয়াহভিত্তিক যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, কর্মকৌশল ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করেছে। এছাড়া একটি সাংগঠনিক কাঠামোসহ উপযুক্ত ও দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করেছেন তারা।

দুটি ভিশন ও মিশন নিয়ে কাজ করছেন তারা। এক. মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশিত বাধ্যতামূলক যাকাতের বিধান প্রচার ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। দুই. ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক দারিদ্র্যমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা। এছাড়াও ইসলামের বিধি-বিধান অনুসারে যথাযথভাবে যাকাত আদায়ের বিষয়ে বিত্তবান মুসলমানদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা; পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনার আলোকে যাকাত তহবিল সংগ্রহ এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তার বিতরণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা; যাকাতকে সমাজের সমৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনের অন্যতম কার্যকর কর্মকৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা; যাকাত আদায়, বিতরণ ও সদ্ব্যবহারের উদ্দেশ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্লাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান ।

সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) যাকাত ও সদাকার অর্থে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তার লক্ষ্যে জিনিয়াস বৃত্তি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে । দেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) ও সরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহের স্নাতক প্রথম বর্ষে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যাদের পরিবারের পক্ষে শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা তাদের বৃত্তি প্রদান করছে সিজেডএম।

প্রতিষ্ঠানটি যাকাতের অর্থ আটটি খাতে ব্যয় করছেন। তাদের এই ৮ টি খাত হল, জরুরি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি- ইনসানিয়াত; আয়বর্ধন ও মানব উন্নয়ন কর্মসূচি- জীবিকা; ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি- মুদারিব; দরিদ্র বেকার যুবকদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি- নৈপূন্য বিকাশ; দুঃস্থ নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি- ফেরদৌসি; সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ও পুষ্টি সহায়তা কর্মসূচি- গুলবাগিচা; স্নাতক পর্যায়ের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি কর্মসূচি- জিনিয়াস এবং সচেতনতা সৃষ্টি ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি- দাওয়াহ

২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একযুগে ১০ লাখ মানুষ পেয়েছে যাকাতের আর্থিক সুবিধা। জীবিকা প্রজেক্টে ৯৭ হাজার ৫৪০ জন মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে,
দাওয়ায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ, নৌপূন্য বিকাশে ২ হাজার ৯৫১ জনকে ভোকেশনাল ট্রেইনিং ও কর্মসংস্থানের জন্য ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, গুলবাগিচা প্রজেক্টে প্রাথমিক শিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণে ১৯ কোটি ১ লাখ টাকা, ইনসানিয়াতে খাদ্য, শীতবস্ত্র, আবাসন ও ত্রাণ কার্যক্রমে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮ জন মানুষকে ১৯ কোটি ১২ লাখ, জিনিয়াসে স্নাতক পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী ১৪ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তী প্রদানে ৩৯ কোটি টাকা, ফেরদৌসিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩৭ জন নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সেবায় ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং মুদারিবায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ এবং যাকাত ব্যবস্থাপনায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকাসহ সর্বোমোট ১৫৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার আর্থিক সুবিধা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট ।
যাকাত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)-এর উদ্যোগে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় যাকাত মেলা।

প্রতি বছরের ন্যায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এবারও যাকাত ফেয়ারের আয়োজন করেছে । এবছর ‘মেকিং এ ডিফারেন্স উইথ যাকাত’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৪ ও ২৫ মার্চ ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে দু’দিনব্যাপী ১০ম যাকাত মেলা। দশম যাকাতমেলার উদ্বোধন ও ‘যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম নুর উদ্দিন খান বলেন, যাকাত বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এটি ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার একটি মাধ্যম। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ব্যাপক পরিসরে কাজ করছে। যাকাতের কার্যকর ব্যবহারের জন্য দেশে এ ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরো গড়ে তোলা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের চেয়ারম্যান ও রহিমআফরোজ গ্রুপের পরিচালক নিয়াজ রহিম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব। আলোচনা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবীর হাসান, ওয়ার্ল্ড যাকাত ফোরামের (ডব্লিউজেডএফ) নির্বাহী সম্পাদক ড. ইরফান সাঈদ বেইক, বাহরাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মনজুর-ই ইলাহী। অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সিজেডএমের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম বলেন, যাকাত ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য সিজেডএম গঠিত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে এটি আরো এগিয়ে যেতে পারে।

সিজেডএমের এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ইসলাম একটি জ্ঞানভিত্তিক ধর্ম তথা সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা। এতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করে ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে একটি কল্যাণমূলক সমাজ গঠনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠ যাকাত ব্যবস্থাপনায় সরকারের আইনগত সহায়তাসহ একটি প্রাতিষ্ঠানিক ফ্রেমওয়ার্কের প্রয়োজন রয়েছে। অধ্যাপক ড. কবীর হাসান বলেন, যাকাত একটি ফরজ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

কিন্তু আমাদের দেশে ছোটবেলায় নামাজ পড়ার কথা বলা হলেও যাকাতের বিষয়টি বলা হয় না। যাকাতের বিষয়টি ছোট থেকেই ধারণা থাকলে বড় হয়ে মানুষ যাকাত দিতে উৎসাহিত হতো। তিনি বলেন, কোন ধরনের সম্পদের যাকাত দিতে হবে, কিভাবে দিতে হবে এ বিষয়েও সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে জানেন না। আমাদের আলেমরাও সেভাবে জনগণের কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ জন্য সিজেএডএমের মতো প্রতিষ্ঠান আরো বেশি বেশি গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে মানুষ তাদের যাকাত সঠিকভাবে দিতে পারে এবং যাকাতের হক যেন সঠিকভাবে প্রতিপালিত হয়।

ড. ইরফান সাঈদ বেইক বলেন, মানুষকে শুধু যাকাত দিলেই হবে না, যাকাত সঠিক খাতে ব্যবহার হচ্ছে কি না সেটাও দেখতে হবে। এ জন্য এমন প্রতিষ্ঠান থাকা প্রয়োজন যাতে মানুষ তাদের হাতে যাকাতের সম্পদ তুলে দিয়ে নির্ভার থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় যাকাতদাতাদের ডাটাবেজ ও ইনডেক্স তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চার বছর ধরে এ উপায় নিয়ে কাজ হচ্ছে, যার সুফল পাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক বলেন, অনেক মানুষ যাকাত দেয়, কিন্তু এখনো দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র রয়ে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, যে পদ্ধতিতে যাকাত আদায় ও বণ্টন হচ্ছে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য শুধু জাকাত দিলেই হবে না, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।

ড. মনজুর-ই ইলাহী বলেন, যাকাত দেয়া ফরজ ইবাদত। যার যাকাতের পরিমাণ সম্পদ আছে তাকে অবশ্যই যাকাত দিতে হবে। না হলে গুনাহগার হবেন। কিন্তু দেশে যেভাবে যাকাত দেয়া হয় তাতে মানুষ সঠিকভাবে সুফল পাচ্ছে না। দেশে দারিদ্রের হার কমছে না। এ জন্য যাকাত আদায় ও বিতরণে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

সিজেডএম এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকাত আদায় ও বিতরণে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দেশে এ রকম আরো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আযাদ আলাউদ্দীন, প্রকাশক ও সম্পাদক, মুক্তবুলি কে এম শফিকুল ইসলাম, উপ-সম্পাদক, মুক্তবুলি।

তথ্যসূত্র: মুক্তবুলি ম্যাগাজিন, ২১ তম সংখ্যা (এপ্রিল-মে ২০২২)

Next Barisal banner ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *