অপ্সরা

মোহাম্মদ নূরুল্লাহ ।।

কেশগুলো তার ফণি- মনসার দেহের মতো।

কিংবা ফল্গুধারার ঢেউয়ের মতো।

কপোল আর কপালে

ক্লিওপেট্রার সে তিলক চিহ্ন।

 

মোনালিসার হাসি হেসে,

বাংলার কোন এক প্রান্তে  বিছানা পেতে;

তুমি নীরবে- নিভৃতে কী ভাবছো

হে কবি ?

তোমাকে ঘিরে সাধের আসন তৈরি হলো –

তোমাকে ঘিরে দোদি মারা গেল।

ডায়ানাদের হরিণানয়নের ইশারা-ইঙ্গিতে,

কত যুবা যে দিশেহারা হলো;

তা কি কেউ গুণে রেখেছে ?

 

কবিতার পটভূমি তুমি;

গল্পকারের গল্পের প্লট;

ঔপন্যাসিকের কাহিনি নির্মাণে,

কতই না ভূমিকা রাখছো তুমি !

তা কি কেউ কখনো মনে রেখেছে!

তুমি এক অমর কবিতা,

হে প্রেয়সী!

হে পৃথিবী, তোমার সৌন্দর্যের

সিংহভাগ জুড়ে যাদের আনাগোনা;

ওরাইতো নাট্যকারের পথের দিশা দিবে-

তাই নয় কি ?

 

হে প্রভু! তোমার সৃষ্টির মাঝে

কতনা নিপুণ হাতে, নির্মাণশৈলীর

কারুকার্যে, এক নিখুঁত সৃষ্টি করে ;

তুমি দেখছো আর ভাবছো

তোমার সৃষ্টির কীর্তিকান্ড।

২ comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *