আল্লামা সাঈদীর রাজনৈতিক জীবন

মুক্তবুলি প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

১৫ আগস্ট বেলা সোয়া ১টায় পিরোজপুর সাঈদী ফাউন্ডেশন চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে বেলা ৩টায় তাকে ছেলে রফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।। তিনি ১৯৮২ সালে জামায়াতের রুকন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি জামায়াতের মজলিশে শূরা সদস্য এবং ১৯৯৬ সালে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। আল্লামা সাঈদী ২০০৯ সাল থেকে জামায়াতের নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংসদ সদস্য
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ১ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে পরপর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেয়া হয়। তিনি মাত্র ৬,৯৯৬ ভোটে পরাজিত হন।

২০০১ সালে তিনি ১,১০,১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার ৭৬,৭৩১ ভোট পেয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর মাত্র তিনজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আল্লামা সাঈদী ৫৫,৭১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগে প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার পেয়েছিলেন ৫৫,৪৩৭ ভোট।

আল্লামা সাঈদী অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় কুরআনের খেদমত করেছেন। বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তাফসীরের জন্য। তাঁর তাফসির শুনে বহু অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে তিনি কুরআনের মাহফিল করে মানুষের কাছে আল্লাহর বানী পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশে ইসলামী জাগরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার যৌবন কাটিয়েছেন কুরআনের তাফসীরের ময়দানে আর শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন কারাগারে। ##

One comment

  1. আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি কোরআনের খেদমতকারী এই বান্দাকে তিনি যেন তার আপন রহমতে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। ইন্তেকালের কারণে কুরআনের ময়দানের এই শূন্যস্থান আপনি পূরণ করে দেন, আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *