নয়ন আহমেদ
পথিক মোস্তফা ২০০৩ সালে “আলোর দরপত্র” কাব্যগ্রন্থ লিখে পরিচিতি পান । কবি হিসেবে তার অসাধারণ নির্মিতি আমাদের আকৃষ্ট করে। জীবনবোধের গভীরতা তার কবিতাকে দিয়েছে এক অসাধারণ ব্যঞ্জনা। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় “সবকিছু রোদে দেবো” (২০০৪),”তৃতীয় মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা (২০০৮), স্বর্গ ও শূন্যতার উপাখ্যান (২০০৬), মানুষের তালিকা থেকে পথিক নামটি বাদ দিন (২০২০)।
তার কবিতায় আলাদা এক বৈশিষ্ট্য আছে। প্রেম, বিশ্ববীক্ষা আর আধ্যাত্মিকতা তার কবিতার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
শুধু কবিতা নয়। গদ্য ও প্রবন্ধ সাহিত্যেও তার অসাধারণ দক্ষতার ছাপ পাওয়া যায়।
“জিহাদ মানে হত্যা নয়; মানবতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা (২০১৯)”তার প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি তাকে
ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেয়।”বরিশালে গণহত্যা”তার একটি অসামান্য গ্রন্থ। মুক্তিযুদ্ধকে জানতে এই গ্রন্থ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
তার “বিশ্বের কতিপয় মুসলিম কবি সাহিত্যিক”গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় এবারের
একুশে গ্রন্থমেলায়। প্রবন্ধ সাহিত্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বরিশালের বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান “পথিমিতা প্রকাশন”।
বিশ্বের কতিপয় বিখ্যাত মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী ও তাদের সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন স্থান পেয়েছে এ গ্রন্থে। ১৪৪ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে সূচিবদ্ধ হয়েছেন ৩১ জন কবি সাহিত্যিক।
মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) সময়কার হাসসান বিন সাবিত, সাফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, খানসা, কাব ইবনে যুহাইর,আলি ইবনে আবু তালিব প্রমুখ কবি সাহিত্যিক অনুপুঙ্খ বর্ণনায় উঠে এসেছেন। এসব কবি-সাহিত্যিকরা আলো ছড়িয়েছেন বিশ্বময়। আরো কয়েকজনের নাম আমরা উল্লেখ করতে পারি। ফরিদ উদ্দিন আত্তার, জালাল উদ্দিন রুমি, শেখ সাদি, ইবনে কাসির, ইবনে বতুতা, হাফিজ, জালালুদ্দিন সুয়ুতি, সাইদ নুরসি, আল্লামা ইকবাল, হাসান আল বান্না প্রমুখ।
এদের রচনাবলি যুগ যুগ ধরে আলো বিকিরণ করে আসছে। পৃথিবীর সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য এক অনন্য মাত্রায় উচ্চাসন দখল করেছে।
বাংলাদেশে অসামান্য এই গ্রন্থটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তিনশত টাকা। বইটি অনলাইনে rokomari.com-এও অর্ডার করা যায়।