মাহমুদ ইউসুফ
ব্রিটিশ রানি মেরির মানবতা হরণ
ইংল্যান্ড রানি মেরির আদেশে শত শত ভিন্ন মতাবল্বীকে পুড়িয়ে মারা হয়। খ্রিস্টান ধর্মে ‘রক্তপাত নিষিদ্ধ’ বলে সে দেশে অন্যধর্র ও মতের লোকদের আগুনে পুড়িয়ে, গরম তেলপূর্ণ কড়াইয়ে নিক্ষেপ করে এবং পানিতে চুবিয়ে দম বন্ধ করে অগণিত লোককে খুন করা হয়।
[এস. এম. লুৎফর রহমান: বাঙালা লিপির উৎস ও অজানা ইতিহাস, বাংলা একাডেমি ঢাকা, মার্ ২০০৫, পৃ ১৭০]
রোহিঙ্গা ও মুসলমানদের গুলি করে শেষ করে দেয়া উচিত
তেলেঙ্গানার এমএলএ রাজা সিং
ভারতের আসামে নাগরিকদের তালিকা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনীতি। একই সঙ্গে বিজেপি শাসিত দেশে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ যেন সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আসামের ৪০ লাখ মানুষকে নাগরিকের তালিকাপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই মুসলিম। নাগরিকত্ব বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি তেলেঙ্গানার এমএলএ রাজা সিং বলেছেন, রোহিঙ্গা ও অবৈধ বাংলাদেশিরা যদি ভারত না ছাড়ে তাহলে তাদের গুলি করা উচিত।
[দৈনিক যুগান্তর, ৩১ জুলাই ২০১৮]
উত্তর কোরিয়ার মানবতাবিরোধী আচরণ ও গণহত্যা (১৯৪৮- )
পৃথিবীর মানবতা বিরোধী ও স্বাধীনতা দমনাত্মক এক সরকার হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। বিশ্ব মানবাধিকার রেকর্ডের সবচাইতে সর্বনিম্ন সূচক নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান শীর্ষে। এই দেশে কেবল রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষকে এখন পর্যন্ত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে দাসত্ব, কারাবরণ, গণহত্যা, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আরো লক্ষ লক্ষ মানুষ। আনুমানিক হিসাব মতে, ১৯৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় একনায়কতন্ত্রের ফাঁদে গণহত্যার শিকার হয়েছেন প্রায় ৭-৩৫ লক্ষ মানুষ। [সরোয়ার চৌধুরী: স্বৈরশাসনের অধীনে পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত ১০ গণহত্যা, রোয়ার বাংলা, সংগৃহীত: ০১ আগস্ট ২০১৯]