ধর্ম ডেস্ক ||
পবিত্র রমজান মাস জুড়ে রোজা পালন মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত আবশ্যক ইবাদত। রোজা রাখা সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। অন্যদিকে নামাজও আমাদের উপর ফরজ। নামাজ না পড়লে গোনাহ হবে, তবে রোজা আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
তবে এমনটা না করা উচিত। রোজা সারাদিনে একটি ফরজ। অথচ দৈনিক ফরজ নামাজ ১৭ রাকাত। মর্যাদার দিক থেকেও ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ, অতঃপর রোজা।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, সালাত (নামাজ) হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্যকারী। (মুসলিম)
অতএব এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, যিনি রোজা রাখছেন, কিন্তু নামাজ পড়ছেন না, তার রোজা রাখা শুধু পানাহার ত্যাগ করা। যার অন্তরের মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে, আল্লাহর বিধানের প্রতি অনুগত্য ও আত্মসমর্পণ করতে পেরেছে। আর সেটা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার এই সিয়ামের কোনো মানে নেই, আল্লাহ সিয়ামের মাধ্যমে এটাই চাচ্ছেন।
মাহে রমজানসহ সারা বছরে আল্লাহর কাছে বান্দার আনুগত্য প্রকাশের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হলো নামাজ। একজন ইমানদার নারী-পুরুষের প্রধান করণীয় ইবাদত নামাজ প্রতিষ্ঠা করা। নামাজের সময় শরীরের শ্রেষ্ঠ অঙ্গ মাথা মাটিতে লুটিয়ে সিজদায় পড়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
কারণ, নামাজ হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্যের প্রধান নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা যেসব ইবাদত ফরজ করে দিয়েছেন তন্মধ্যে সালাত অন্যতম। পবিত্র কোরআনে ৮২ বার সালাত কায়েম করার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো ও জাকাত দাও এবং যারা রুকু করে তাদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৪৩)
রমজান মাসে সব ফরজ ইবাদতের মধ্যে নামাজই সবচেয়ে অগ্রগণ্য। নামাজ ইমানকে মজবুত করে। নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। প্রথম তিনটি গরিব-ধনী প্রাপ্তবয়স্ক সব মুসলমানের ওপর ফরজ। আর শেষের দুইটি সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর ফরজ।